রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন

নবীনগরে কৃষক মাঠ স্কুলে কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিক্ষণ

প্রতিনিধির নাম / ১৬ বার
আপডেট : সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
নবীনগরে_কৃষক_মাঠ_স্কুলে_কৃষি_প্রযুক্তি_ব্যবহারে_প্রশিক্ষণ

নবীনগর উপজেলায় কৃষি প্রযুক্তি দ্রুত মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করতে এবং কৃষকদের প্রযুক্তি হাতে কলমে শিখাতে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত হচ্ছে কৃষক মাঠ স্কুল। কৃষকের বাড়ির উঠানে পাঠদান দেওয়া হচ্ছে কিষান-কিষানিদের। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম কৃষক মাঠ স্কুল। এই স্কুলে শেখানো কৃষিপ্রযুক্তি চাষাবাদে প্রয়োগ করে নবীনগর উপজেলার অনেক কিষান-কিষানির দিনবদলে সুদিন ফিরেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে একাধিক প্রকল্পের আওতায় কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালনা করা হচ্ছে। তারমধ্য অন্যতম হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় জৈব কৃষি সম্প্রসারণ করতে ১৪ সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় চলমান অর্থবছরে ০৫টি স্কুলে ১২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীকে সপ্তাহে পাঠদান দেওয়া হয়। তাছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের অংশীদারত্বে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ইউনিয়নে ধান, গম, ভূট্টা, ডাল জাতীয় ফসলের উপর সাতটি করে স্কুল পরিচালনা করা হবে। প্রতিটি স্কুলের মাধ্যমে প্রশিক্ষনার্থীদের জৈব কৃষি, আধুনিক চাষাবাদ, উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কারিগরি সেশন পরিচালনা করে আত্মনির্ভরশীল করতে কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের বাছিদপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একদল কিষান-কিষানি বেশ মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করছেন। শিখছেন কৃষির নানা উন্নত প্রযুক্তি।

এই স্কুলের শিক্ষার্থী কৃষক নাঈম প্রতিদিনের বার্তাকে বলেন, মাঠ স্কুল তাঁর জীবনে সচ্ছলতা এনে দিয়েছে, কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি আধুনিক সকল প্রযুক্তি গ্রহণ করছি, সবজির চারা উদ্যোক্তা হয়েছি।

বাছিদপুর গ্রামের কৃষক কাউছার প্রতিদিনের বার্তাকে বলেন, স্কুলে শিখে নিজের তৈরি জৈব সার দিয়ে এখন ফসল ফলান। রাসায়নিক সারের বদলে খেতে কেঁচো সার দেন। জৈবসার জমির অত্যাবশকীয় অংশ তা এই স্কুলে না পড়লে তাঁরা জানতে পারতেন না।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম লিটন প্রতিদিনের বার্তাকে জানান, বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা কৃষি এখন বানিজ্যিক এবং যান্ত্রিকীকরণ কৃষিতে রূপান্তর হয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে কৃষক মাঠ স্কুল দারুণ ভূমিকা রাখছে। কয়েকটি প্রকল্পের অর্থায়নে আমরা পুরো উপজেলায় এই স্কুল কার্যক্রম ছড়িয়ে দিচ্ছি। কৃষক প্রশিক্ষণ নিয়ে উপকৃত হচ্ছে। চলমান অর্থবছরে আমাদের ৩১ টি কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। যার আওতায় ৭১৫ জন কৃষক প্রশিক্ষিত হবে।


এ জাতীয় আরো সংবাদ