সোমবার (১৭ অক্টোবর) সারাদেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্পন্ন হয়েছে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৬টিতে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৯টায় শেষ হয়েছে দুপুর ২টায়। ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে ২১টি জেলার ফলাফল। বিস্তারিত স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে—
কিশোরগঞ্জ: ১৭ অক্টোবর (সোমবার) সারা দেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ও বাজিতপুরে সকাল ৯ ঘটিকা থেকে বিরতীহীন ভাবে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
কুলিয়ারচর উপজেলার মোট ৯৪ টি ভোটের মধ্যে ৯২ টি ভোট কাস্টিং হয়। এতে সাধারন সদস্য পদে ঘুড়ি মার্কা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করে আব্দুস সাত্তার মাষ্টার ৪১ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নজরুল ইসলাম তালা মার্কা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৮ ভোট পেয়েছেন।
বাজিতপুর উপজেলার মোট ১৫৯ ভোটের মধ্যে ১৫৭ ভোট কাস্টিং হয়।এতে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহজাহান তালা মার্কা প্রতিকে ১১৩ ভোট পেয়ে বিজয় লাভ করেন। এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহবুব হাসান কামাল টউবওয়েল মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩১ ভোট পেয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শামীম আহাম্মেদ প্রতিদিনের বার্তাকে জানান, আমরা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পেরেছি। নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিয়েছিল সেটি আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে পেরেছি। আমাদের আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা প্রস্তুতি ছিল সঠিক।
নাটোর: নলডাঙ্গায় জেলা পরিষদ সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন সোহরাব হোসেন সোহাগ।
নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ৬ নং ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সোহরাব হোসেন সোহাগ ৯ ভোটের ব্যবধানে নিকট তম প্রতিদ্বন্বদ্বীকে পরাজিত করে তিনি জয়লাভ করেন।
ইভিএমে আয়োজিত এই ভোটে নলডাঙ্গা শহীদ নজমুল হক সরকারি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন হয়।
নির্বাচনে নলডাঙ্গা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে সাজেদুর রহমান খান পেয়েছেন চশমা প্রতিকে ৫১ ভোট ও মোঃ নুরুন্নবী মৃধা ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ২৬ ভোট।
সদস্য পদে সোহরাব হোসেন সোহাগ (হাতি) ৩৪ ভোট,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ সেলিম রেজা (টিউবওয়েল) ২৫ ভোট, মুক্তার হোসেন নিপু(উটপাখি) প্রতীকে ১৩ভোট এবং মোঃ মুশফিকুর রহমান মুকু (তালা) প্রতীকে পেয়েছেন ৫ ভোট।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে লাভলী ইয়াসমিন (ফুটবল) ৩৫ ভোট,বিউটি আহম্মেদ( হরিণ) ২৫ ভোট,আমিরন বেগম (বই) ০০ ভোট, ফরিদা পারভীন (দোয়াত কলম) ০০ ভোট, মহুয়া পারভীন লিপি (লাটিম) ০৮ভোট, লাইলী বেগম (মাইক) ০০ ভোট, এবং শেফালী আক্তার বিজলী (ঘড়ি)০৯ ভোট ভোট পেয়েছেন।
বিষয়টি প্রতিদিনের বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন নলডাঙ্গা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার
রাজশাহী : রাজশাহী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী আক্তারুজ্জামান আক্তার পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। মোটরসাকেল প্রতীকে লড়ছিলেন তিনি। ভোট গণনা শেষে মীর ইকবালকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাংশা উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ তালগাছ প্রতীক নিয়ে ৪২৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দীপক কুণ্ডু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমামুজ্জামান চৌধুরী রিটু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ২৮ ভোট।
নরসিংদী : শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়েছে নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২। সোমবার সকাল ৯ টায় ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে টানা ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ২ টায়।
নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ৬২২ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী মনির হোসেন ভুঁইয়া। আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভুইয়া কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩৫০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ জাহান লিটু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২১ ভোট।
এরমধ্যে, নরসিংদী সদর উপজেলায় আনারস প্রতীক ১১৫ ভোট, কাপ পিরিচ ৯৪ এবং মোটরসাইকেল ০২ ভোট। রায়পুরা উপজেলায় আনারস প্রতীক ২২৫ ভোট, কাপ পিরিচ ৮৯ এবং মোটরসাইকেল ০৫ ভোট। পলাশ উপজেলায় আনারস প্রতীক ৪২, কাপ পিরিচ ২৫, মোটরসাইকেল ০১ ভোট। শিবপুরে আনারস ৬৭, কাপ পিরিচ ৪৭ এবং মোটরসাইকেল ০২ ভোট। মনোহরদীতে আনারস ১১০ ভোট, কাপ পিরিচ ৫৪, মোটরসাইকেল ০৮ ভোট ও বেলাব উপজেলায় আনারস ৬৩, কাপ পিরিচ ৪১ এবং মোটরসাইকেল ০৩ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া সাধারণ সদস্যদের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন, ১নং ওয়ার্ড সদর উপজেলায় আবদুল্লাহ আল মামুন সরকার, ৩নং ওয়ার্ড রায়পুরায় রাজিব আহমেদ, ৫নং ওয়ার্ড মনোহরদীতে এ কে এম জহিরুল হক, ৬নং ওয়ার্ড বেলাবতে মেরাজ মাহমুদ। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন ২নং ওয়ার্ড পলাশের ওবায়দুল কবির মৃধা ও ৪নং ওয়ার্ড শিবপুরের মো. আমানুল্লাহ ভূঁইয়া। অন্যদিকে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড দুটোর মধ্যে ১নং ওয়ার্ডে (সদর-পলাশ-রায়পুরা) সাহিদা খানম ও ২নং ওয়ার্ডে (শিবপুর-মনোহরদী-বেলাব) ইসরাত জাহান তামান্না নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে ৩ টি পদের বিপরীতে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০ জনসহ মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ১ হাজার ৩ জন ভোটারের মধ্যে ৯৯৪ জন ভোট দেন। এরমধ্যে ১টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়।
৬ উপজেলায় ৬ টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১৩ টি বুথ স্থাপন করা হয়। সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ করতে প্রতিটি কেন্দ্র এবং আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরা র্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন।
নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ এর রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জেলার কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা কোন অভিযোগ আসেনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আল মামুন সরকার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ৮২২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শফিকুল আলম মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫৩ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
সবকটি কেন্দ্রেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩৬২ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল। এছাড়া র্যাব সদস্য এবং জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন আনারস প্রতীকে ৪৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা কে এম বজলুল হক খান পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।
খুলনা : খুলনা জেলা পরিষদে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আ.লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৩ ভোট। আর ডা. শেখ বাহারুল আলম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ ভোট।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন আ.লীগ মনোনীত মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ নজরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৬০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খলিলুল্লাহ্ ঝড়ু পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট। ১৬১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
যশোর : যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আ.লীগের প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সাইফুজ্জামান পিকুল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আনারস প্রতীকের মারুফ হোসেন কাজল।
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম হারুন আর রশিদ আনারস প্রতীকে ৪৭৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস তার চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬৫ ভোট। জেলার ৬ উপজেলা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ভোটে মোট ৯৯৮জন ভোটারের মধ্যে ৯৪১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নড়াইল : নড়াইল জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন আ.লীগ মনোনীত জেলা আ.লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত চয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৭৫ ভোট।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আরেফিন আলম রনজু ঘোড়া মার্কা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান এই ফলাফল ঘোষনা করেন।
মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা অ্যাড. আব্দুস সালাম। আ.লীগ মনোনীত এই প্রার্থী কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৭৬ ভোট পেয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দী সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা গোলাম রসুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১১৫ ভোট। এ নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় তিনটি ভোট কেন্দ্রে ২৯৩ জন ভোটারের মধ্যে শতভাগ ভোট পোল হয়েছে।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আ.লীগের সভাপতি তালগাছ প্রতীক আবু বকর সিদ্দিক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আতাউর রহমান সরকার আতা (ঘোড়া প্রতীক)।
পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হান্নান শেখ। তিনি পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে ২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আ.লীগ মনোনীত জেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩১ ভোট।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আ.লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদ মনোনীত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম (চশমা)।
নেত্রকোণা : নেত্রকোণা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আ.লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট অসিত কুমার সরকার সজল (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসমা আশরাফ।
বগুড়া : বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. মকবুল হোসেন পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৯৩২ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মান্নান আকন্দের মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৭০ ভোট।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়য় হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১২ ভোট। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আ.লীগের মনোনীত ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল কবির রুমেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৬০৪ ভোট।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের দলীয় প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চেয়ে ১২ গুন ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত চেয়রম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৯৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মো. শিবলী খায়ের আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৭ ভোট এবং অপর প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৩টি।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান (ঘোড়া মার্কা) ৯৬ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৮২ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান মোহন (আনারস মার্কা) পেয়েছেন ৪৮৬ ভোট। এছাড়া অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাকসুদুর রহমান পেয়েছেন ১০ ভোট।
চাঁদপুর : চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটওয়ারী। তিনি মোবাইল প্রতিকে ৭২৯ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী জাকির হোসেন আনারস প্রতিকে ৫২৫ ভোট পেয়েছেন। তাদের ভোটের ব্যবধান ২০৪ ভোট। চাঁদপুরে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সাধারণ সদস্য ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১২ জনসহ মোট ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ১ হাজার ২৬৯ জন ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশে দ্বিতীয়বাবের মতো জেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সব কটি ভোটকেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
ইসি জানিয়েছে, ২৬ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ছাড়াও নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ১৮ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলা পরিষদের সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এই দুই জেলায় ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না।
আজকের নির্বাচনে ৫৭টি জেলার চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৯২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৭টি জেলায় মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি এবং ভোটকক্ষ ৯২৫টি।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধর / প্রতিদিনের বার্তা