নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সাদেকপুর গ্রামে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দু’গোষ্ঠীর পূর্ব শত্রুতার জেরে নিহত গোলাপ মিয়ার পরিবার পরিজনের খোঁজ খবর নিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি।
শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় সাদেকপুর বাজারে উভয় পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে গোলাপ মিয়া হত্যাকান্ডের বিচার কার্যক্রম আইনগতভাবে চলবে বলে আশ্বস্ত করেন। এই ঘটনায় এলাকায় আর কোনো দাঙ্গার সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি বেগম, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম শাহারিয়া বাদল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য নাসির উদ্দিন, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ -সভাপতি এড.সুজিত কুমার দেব। নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম নজু, পশ্চিম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া।
নিহত গোলাপ মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান বলেন, আমার পিতাকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের আইনগত বিচার চাই। আমার পিতার হত্যা মামলা বাদী আমি হব, কিন্তুু আমাকে বাদী না করে করা হলো কুলসুম বেগমকে। মোহাম্মদ মালেক মেম্বার বলেন, গ্রামে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, গ্রামে কোন লোকজন থাকতে পারে না। এ সময় গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও একটি সমাধানের জন্য এমপি মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন জানান। এমপি মহোদয় বক্তব্যে বলেন, আমি শান্তি চাই বিশৃঙ্খলা চাইনা। গোলাপের বিচার আইনগতভাবে হোক আমিও চাই কিন্তু ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট এগুলো ভালো না। সবাই সুন্দর ভাবে চলেন মামলা আইনগতভাবে চলবে। আপনাদের শান্তির লক্ষ্যে আগামী শুক্রবারের মধ্যে বাদী বিবাদী পক্ষের পাঁচজনের নামের তালিকা দিবেন, গ্রামে যেন শান্তিপূর্ণভাবে সবাই বসবাস করতে পারেন তাদের সাথে বসে এ বিষয়ে আমি একটি সুস্থ মীমাংসা চাই। আগামী এক সপ্তাহের ভিতরে আপনারা যার যার বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবেন কিন্তু মামলা আইনগতভাবে চলবে।