বার্তা ডেস্ক.
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন নামঞ্জুর করছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর আর অংশ নেওয়া হচ্ছে না।
শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। খালেদার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ভোট দেন। অন্যদিকে প্রার্থিতা বাতিলের পক্ষে রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অপর ৪ কমিশনার।
পরে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনটি ৪-১ ভোটে নামঞ্জুর করা হয়েছে।
অবশ্য ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খালেদার উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে দুই বছরের বেশি দণ্ডিতদের নির্বাচন করার পথ উচ্চ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ হওয়ায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনের আর ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।
ফেনী-১, বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ আসনের মনোনয়নপত্র নিয়ে আপিল আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। তবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী এজলাসে একাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের ওপর শেষ দিনের শুনানি শুরু হয়। দুপুরে শুরু হয় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি। এক পর্যায়ে জানানো হয়, বিকাল ৫টার পর আবার শুনানি হবে। এরপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
আপিল শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন এবং মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।